যখন মন ভরে উঠে একাকিত্বে, তখন বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি নতুন মানুষের সাথে পরিচয়ের খোঁজে। মাঝে মাঝে Rapido Captain app on করি। আমার Himalayan Scram, যা তেলে খায় তাতে খরচ তো উঠে না।
কয়েকটা ছোট ছোট রাইডগুলোই মন হালকা করে। গতকাল রাতের সেই বিজয়া দশমীর স্মৃতি এখনো হৃদয়ে বেজে চলছে। কয়েকটি রাইড শেষে শেষ যাত্রাটি ছিলো খুবই সাধারণ। পিকআপ এলাকা ছিলো Santosh Plaza থেকে, SH2 Nandagarh, opposite Purba Adarsha Bidyapeeth, আর ড্রপ পয়েন্ট Champadali, Gupta Colony।
কিন্তু বিসর্জনের ভিড়ে যাত্রীর অনুরোধে উনি শেঠ পুকুরের VIP Showroom এর সামনে নামলেন। রাষ্ট্রের এই প্রাচীন উৎসবের ভিড়ে আমি রেইড এর এক অনাড়ম্বর এক ভয়ানক ঘটনার মুখোমুখি হলাম।
আমি দাড়িয়ে আছি পেমেন্ট নেবো বলে, হঠাৎ করেই এক গাট্টাগোট্টা, নেশায় মাতাল, চোখ লাল এক লোক নাচতে নাচতে এসে ধাক্কা দিলো তার পিঠ দিয়ে আমার বাইকে। ২ অক্টোবর, তবুও মুখে মদের গন্ধ, চোখে দুষ্টুমি আর বেপরোয়া ভাব। আমি নিশ্চুপ ছিলাম, কোনও প্রতিক্রিয়া দিলাম না। শুধু শান্তভাবে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলাম, যদিও আমার কোন ভুল ছিল না। কিন্তু তার পাগলামির ঘোরে সে আমাকে এই আঘাত করে কি সেই আঘাত আঘাত করে হাত উঁচিয়ে। আমি অবিচল থেকেছি, কথা বলিনি।
শেষে সে আমার বাইকের চাবি হঠাৎ তুলেই ভিড়ে মিশে গেল। পাশে VIP Showroom-এর সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও কেউ intervención করল না, যদিও এক পুলিশকর্মী দূর থেকে সব দেখছিলেন। যখন আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম, তিনি কেবল বললেন— “আমরা কী করব?”
একটু পরে যাত্রীটি, যিনি আমার সঙ্গে এসেছিলেন, হঠাৎ ফিরে এসে আমার বাইকের চাবি হাতে তুলে দিয়ে বললেন, “সাবধানে বাড়ি ফিরবেন, শুভ বিজয়া।”
এই হলো আমার বিজয়া দশমীর রাতের গল্প, যেখানে আনন্দের মাঝেও একাকীত্ব, নিরাপত্তার অভাব আর অবিচারের ছায়া লেগে ছিলো।
সঞ্জয় হুমানীয়া, বারাসাত, ২ অক্টোবর ২০২৫





রূপ কথা
কালচক্র
শামুকের মুক্তি
অভিমানী বাবী
বৃষ্টির দিনে সেই প্রথম
ফেসবুকের অভিনন্দন পত্র
Gaighata Tornado 1983 | গাইঘাটা ঘূর্ণিঝড় ১৯৮৩ (চড়ুইগাছি টর্নেডো)
এক মুঠো অচেনা মানুষ