দুপুরে খেতে গিয়ে এই পুরোনো উক্তিটি মনে পড়ে গেলো। করোনার আগে আমাদের আপিসে মধ্যাহ্নভোজন ওর নৈশভোজনের ব্যবস্থা থাকতো। করোনার ছোবলে আজ তা অতীত। পুরোপুরি আপিস খুলেছে আজ প্রায় ৪/৫ মাস। হ্যা, অসুবিধা হচ্ছে!! তবুও মানিয়ে নিতে হয়। আজকাল মাঝে মাঝে মধ্যাহ্নভোজন করি অপিসের কাছে এক রাস্তার সস্তা হোটেলে। ভাত, ডাল, মাংস, রুটি, পরোটা, ডিম, বিরিয়ানি পাওয়া যায়। হোটেল মালিকের ব্যবহার ভালোই। আমি যখনি এখানে খাই, রুটি মাংস খাই। দুই পিস রুটি আর হাফ মাংস, ৭০ টাকা।
আজ একটু দেরি হয়ে গেলো খেতে যেতে। গিয়ে শুনলাম কিছু নেই, শুধু আছে আম্বুর বিরিয়ানি। নিরুপায় হয়ে খেতে শুরু করলাম। শুধু মাত্র ক্ষুধা নিবারনের জন্যই ওটা খাওয়া। আমি খাচ্ছি, এদিকে কয়েকজন পরিচিত অন্য গ্রাহক এলো হোটেলে। আমার সাদা মনে কাদা নেই, বললাম আজ সব শেষ শুধু বিরিয়ানি। এ কথা শুনে ওরা অন্যত্র যাওয়া জন্য পা বাড়ালো। এই দেখে হোটেলের লোকটি জিজ্ঞাসা করলো কি লাগবে ওনাদের। একজন রুটি সব্জি আর ডিমের ওমলেট চাইলো, অন্যজন ডাল ভাত ডিমের ওমলেট চাইলো। অসৎ হোটেল মালিক, মাথা নাড়িয়ে বললো, “আছে তো!”
ভিতর থেকে সাদা ভাত, ডাল, রুটি, সব্জি, ওমলেট সব বেরিয়ে এলো। আমার মুখ হা… !! আমি বললাম, এই যে তুমি বললে কিছু নেই, সব শেষ!! অসৎ হোটেল মালিক চালাকি হাসি হেসে বললো, বিরিয়ানি বেশি রয়ে গেছে আজ তাই সবাইকে বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছি। আর যারা একেবারেই না খেয়ে ফিরে যাচ্ছে তাদের জন্য অন্য কিছু বার করে দিচ্ছি। আমি বললাম, তবে আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম তুমি অন্য কিছু নেই বলে? উনি বললেন, আপনি ফিরে গেলেন না, তাই আর কিছু বললাম না।
আমার গলা দিয়ে আর বিরিয়ানি নামলো না। প্লেট উপুড় করে দিলাম ডাস্টবিনে। লোকটির মুখে তখনো যুদ্ধ জয়ের চালাকি মার্কা হাসি। সে হয়তো ভাবতে পারছে না, আজ একজন ক্রেতা হারিয়ে ফেলেছে সে।
চালাকির দ্বারা ব্রণ গালা যায় কিন্তু ফোড়া ফাটানো যায় না।
সঞ্জয় হুমানিয়া
১১ই মার্চ ২০২৩, বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ইন্ডিয়া
★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★
