কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ৩ সেপ্তেম্বের ২০১৭তে প্রকাশিত হয় রহস্যরবিবার-৬ ‘এভাবেও মেরে ফেলা যায়‘। বই আকারে প্রকাশ পায় জানুয়ারী ২০১৮, আনান্দ পাবলিশার্স থেকে। গোয়েন্দা গল্পের পাঠক মহলে সেই সময় বেশ একটা হৈচৈ পড়ে যাওয়ার খবর কানে এসেছিলো। ফেসবুক বা ebook পড়তে আমার ইচ্ছে করে না। প্রধানত দুটি কারন। কাগজের বই পড়ে যে মজা, সেতি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে পড়ে মজা নেই। সত্যি বলতে বেশ কিছুদিন এই ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে বই পড়তে পড়তে অনুভব করলাম যে আমার বইপড়ার যে ইচ্ছে সেটি দিনে দিনে কমে আসছে। অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা একান্তই আমার।
৩০ অগাস্ট ২০২০, রবিবার কিনে ফেললাম ‘গয়েন্দাপীঠ লালবাজারের প্রথম খন্দ’। Bangalore এ আমি যেঅংশে থাকি সেখান থেকে আনন্দ পাবলিশার্সের দোকান ১৭ কিলোমিটার দূরে। শারদীয় আনান্দমেলা কেনার উদ্দেশ্যে গিয়ে শেষমেশ আনান্দমেলা সহ আরও দুটি বই কিনে ফিরলাম।
গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার বইটিতে রয়েছে এক ডজন খুনের রুদ্ধশ্বাস নেপথ্য কাহিনী। এই বইটির লেখক সুপ্রতিম সরকার, এবং বইটির ভূমিকা লিখেছেন রাজীব কুমার(IPS, Nagarpal, Kolkata)। বইয়ের প্রথম গল্প ‘এভাবেও মেরে ফেলা যায়‘। আজ ১লা সেপ্টেম্বর ২০২০, বইটা খুলে প্রথমে ভুমিকা, তার পর লেখকের কথা শেষ করে প্রথম গল্পটি (গল্প হলেও সত্যি) পড়লাম। প্রথম গল্পেই পয়সা উশুল। ১৯৩৩ সালে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। পাকুড় হত্যা মামলা, বই এ নাম এভাবেও মেরে ফেলা যায়। তথ্যসমৃদ্ধ অসাধারণ লেখনী! লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এই রোমহর্ষক ঘটনাকে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। গল্পটি পড়ার পর অবশ্যই আপনার ব্যোমকেশ বক্সীর কথা মাথায় আসবে আর তার সঙ্গে মনে আসবে বেশ কিছু গল্পের নাম।
- পথের কাঁটা (১৯৩৪)
- অগ্নিবাণ (১৯৩৫)
- শজারুর কাঁটা (১৯৬৭)
এই তিনটি গল্প যারা পড়েছেন বা দেখেছেন বা শুনেছে, তারা অবশ্যই আমার সাথে সহমত হবেন। আমি কোন বই রিভিউ লিখছি না, আশা করি ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন অনেক রিভিউ। কলকাতা পুলিশের পেজ সহ গল্পের লিঙ্ক উপরেই দেওয়া হয়েছে, না পড়ে থাকলে পড়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে। এই ঘটনার উপরে আরও একটি বই আছে ‘স্মরণীয় পাকুড় হত্যা মামলা‘ লেখক চিন্ময় চৌধুরী। দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশ পায় ১৯৯৫ সালে। ঘটনাটির আরও পাবেন এই সময় কাগজে, বিনয়-তারানাথ, ছুঁচের একটি খোঁচা এবং কেজিবি নেমে। লিঙ্ক দিয়ে দিলাম, eisamay.indiatimes.com
★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★