Share

চাকরি ভালো না ব্যাবসা ভালো? ছোট্ট গল্পের মধ্যে লুকিয়ে আছে উত্তর

দিল্লিতেএকজন সিঙ্গাড়া-ওয়ালা ছিল এবং তার দোকানের সামনে একটি বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির অফিস ছিল। একদিন এক ম্যানেজার দোকানে সিঙ্গাড়া খেতে গেল। দুইটি সিঙ্গাড়া নিয়ে দোকানদার কে প্রশ্ন করলো যে –

তুমি খুব সুন্দর করে দোকানটা সাজিয়েছো, খুব সুন্দর এডমিনিস্ট্রেশন তোমার। তোমার এত সুন্দর প্লানিং নিয়ে আমার মত চাকরি করলে ভালো হতো না? এই সিঙ্গাড়া বিক্রি করে তো তুমি সময় নষ্ট করছো না?

সিঙ্গাড়া দোকানদার হাসি হেসে বলল –

স্যার, আমার কাজটা আপনার থেকে অনেক ভাল। আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে আমি ঝাঁকা মাথায় করে সিঙ্গাড়া বিক্রি করতাম। তখন আমার আয় ছিল কম বেশি ১০০০/১৫০০ টাকা প্রতি মাস এবং আপনার বেতন হয়তো ছিল ১০ হাজার টাকা। আজ ১০ বছর পর আমার আয় প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি এবং কোন কোন মাসে ১ লক্ষ বেশি। আর আপনার এখন বেতনও হয়তো ১ লক্ষ। তাহলে আপনার থেকে আমার কাজটা বেশি ভালো না?

আমার পরে আমার এই ব্যবসা আমার ছেলে দেখবে। সে সাজানো একটা ব্যবসা পাবে কিন্তু আপনার ছেলে মেয়ে কি আপনার মত এই একই বেতনের চাকরি পাবে? আমি শুন্য থেকে শুরু করেছি কিন্তু আমার ছেলেমেয়েরা শুন্য থেকে শুরু করবে না। চাকুরীজিবী ছেলেমেয়েদের শুন্য থেকেই শুরু করতে হয়। আপনি চাইলেও আপনার এই একই বেতনের চাকরি আপনার ছেলেমেয়ে কে বসাতে পারবেন না। আপনি ১০ বছর আগে যে কষ্টটা করেছেন আপনার ছেলেমেয়েকেও একই কষ্ট করতে হবে।আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত গুছিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব আর আমি তাই করেছি যা আপনি পারেন না।

লোকটা কথা গুলো শুনে সিঙ্গাড়ার দাম মিটিয়ে চলে গেল। entrepreneur এর জন্ম হয় কঠোর পরিশ্রমে, যার পিছনে থাকে সূদৃড় সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা ।

ঘটনাটি পড়ার পর অনেকেই কমেন্ট করবেন যে, এটা তো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বা আমাদের প্রধান মন্ত্রীর সুরে সুর মেলাচ্ছে। কথাটা সত্যিই, আমি অস্বীকার করছি না। আর এটাও সত্যি যে উপরের ঘটনাটি কোনো রূপকথার গল্প নয়। আপনি বর্তমানের যেকোনো শিল্পপতির প্রথম জীবনে উকি মারুন, এই একই গল্প দেখতে পাবেন। হাজার হাজার উদাহরণ আছে আমাদের সামনে। উদাহরণ হিসেবে আমি আম্বানীদের নাম তুলে ধরলাম। আমাদের মাঝেও এমন অনেক entrepreneur আছে, যেমন Akash, TitirSanjib, Sarfaraj বা আরও অনেকে।

#গল্পটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত