মাথায় একটা ছোট গল্প এলো, তাই লিখে ফেললাম ভুলে যাওয়ার আগে। গল্পের স্থান ও সব চরিত্রই কাল্পনিক।
বাস স্ট্যান্ডের পাশের দোকান থেকে রসগোল্লা কিনে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছি। সবে একটা খেয়েছি। শাল পাতার বাটিতে এখনো তিনটে আছে। হঠাৎ খেয়াল করলাম পাশে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে। মুখটা চেনা চেনা মনে হলো। কিন্তু কিছুতেই মনে আসছে না, একে আমি চিনি কি না। সুশ্রী ও লাবনময়ী মুখ। একবার তাকালে বার বার তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে এমনি সে সুন্দরী। বার বার তাকাচ্ছি আর চোখাচোখি হচ্ছে। শেষে ভদ্রতার খাতিরে একটু হাসলাম। মেয়েটিও হাসলো। আমি এবার রীতিমতো ঘামছি। হৃৎ স্পন্দন ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে। মনে আজেবাজে সব খেয়াল আসছে। আমার কান গরম হয়ে লাল হয়ে উঠলো। যতই হোক আমিও তো মানুষ।
২,৩ বার ঢোক গিলে একটু পাশে এগিয়ে গেলাম। আবার ওর মুখের দিকে তাকালাম। ও আমার দিকে তাকালো। আমি হাসলাম। ও হাসলো।
আমার শরীরের যত সাহস ছিল সব এক জায়গায় করে খুব নম্র ভাবে জিজ্ঞাসা করলাম,
“তোমার নাম কি?”
মেয়েটি লাজুক ভাবে বললো,
“মিষ্টি দে”
আমি শাল পাতা এগিয়ে দিয়ে বললাম,
“তুলে নাও”
মেয়েটি খটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে, নাক দিয়ে একটা ‘হুহ!!” শব্দ করে একটু দূরে সরে দাঁড়ালো।
সঞ্জয় হুমানিয়া
১৮ মে ২০১৭, বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ইন্ডিয়া
★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★