ছোটবেলা থেকে জানতাম মিষ্টান্ন ভাণ্ডার মানে মিষ্টির দোকান, আর বস্ত্রালয় মানে জামাকাপড়ের দোকান। অনেক পরে যখন বুঝতে শিখলাম, তখন বুঝলাম যে সকল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারই মিষ্টির দোকান কিন্তু সকল মিষ্টির দোকান মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নহে। ঠিক তেমনেই বস্ত্রালয় ও জামাকাপড়ের দোকানের ক্ষেত্রেও। ছোটবেলার স্মৃতিতে আছে মল্লিক মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, যেখানে স্কুল ফেরৎ আমি কাঁচাগোল্লা আর পাউরুটি খেয়েছি কত আর, রাধাগোবিন্দ বস্ত্রালয় ঈদের কেনাকাটা।
এখন আর কেউ মিষ্টির দোকানের নাম মিষ্টান্ন ভাণ্ডার আর জামাকাপড়ের দোকানের নাম বস্ত্রালয় রাখে না। এসব নাকি সব সেকেলে নাম। এখন সব শর্টকার্ট, মিষ্টির দোকানের নাম “মৌচাক” বা “জলযোগ”। বস্ত্রালয় হয়ছে “স্টাইল ফ্যাশন” বা “চয়েস ফ্যাশন”। এখন আর মিষ্টির দোকানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে না, আগে যেমন থাকতো চৌক চার পেয়ে টেবিল চেয়ার। জামাকাপড়ের দোকানেরও সেই একই অবস্থা। আগে দেখেছি, সাদা চাদরে মোড়া নরম গদি পাতা থাকতো বস্ত্রালয়ে। অনেক বড় জায়গা নিয়ে বস্ত্রালয়। আরাম করে বসে জামাকাপড় দেখাতে বললে কর্মচারীরা জামাকাপড় দেখাতেন। আর এখন? ক্রেতা দাড়াতে ভালোবাসে! No বসার জায়গা, সব কিছু দাড়িয়ে। মশাই, দাড়িয়ে হিসু করতে ভালো লাগে, খাওয়ার সময় বা কেনাকাটার সময় তো একটু বসতে দিন!