
কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দিতে শুরু করেছে স্নান করার পরেই। প্রতিদিন সকালে তাড়াহুড়ো করে ব্যাগ গুছিয়ে সোজা স্কুল। স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে টিফিন টাইমে। সকালের এই সময়টা যেন revital এর বিজ্ঞাপনের মত মনে হয়, “ইস ভাগদোড় ভরি জিন্দেগী মে থাকনা মানা হ্যা”।
টিফিন বক্স খুলে টিফিন দেখে একবার ঢোক গিললাম। আজ আবার সেই!! জলের বোতলের দিকে তাকিয়ে দেখলাম অর্ধেক জল আছে, তাও বাঁচোয়া। অন্যদিন বন্ধুরা টিফিন শেয়ার করতে আসে, আজ আর কেউ কাছেই ঘেঁষছে না।
অগত্যা একাই শুরু করলাম। প্রচণ্ড গলা শুকিয়ে গিয়েছে, জিভ দিয়ে একবার দুই ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়েতেই ঘুম ভেঙে গেলো। ধড়ফড় করে বিছানায় উঠে বসলাম। আমি তো ব্যাঙ্গালোরে, বারাসাত না, এখন তো আর ইস্কুলে পড়িনা। যাক এটা মনে পড়তেই একটু শান্তি পেলাম।
আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। স্কুলে প্রায় আমার টিফিন ছিলো গমের আটার রুটি আর ডিম সেদ্ধ । এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়লে গলা শুকিয়ে আসে। ডিমের ওমলেট আর রুটি খেলে গ্যাস হবে, তাই হয়তো এই সেদ্ধ ডিম। এই টিফিন আমার কাছে আজও এক আতঙ্ক। এখনো মাঝে মাঝে স্বপ্নে এসে আমাকে ভয় দেখায়।
সঞ্জয় হুমানিয়া
ব্যাঙ্গালোর, ১১ই মার্চ ২০২২