Share this post:

[mks_dropcap style=”letter” size=”52″ bg_color=”#ffffff” txt_color=”#000000″]আমাদের[/mks_dropcap] এই সাধারণ মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু রোজরোজ ঘটে না যা আমরা ফেসবুকের দেওয়ালে সেটে দিতে পারি। আমাদেরকে একটু অতিরিক্ত পরিশ্রম বা কার্যকলাপ করে তারপর ফেসবুক পোষ্ট করতে হয়। অন্যদিকে অনেকের ফেসবুক দেওয়াল দেখেছি, যাদের দেওয়াল দেখে কিন্তু বোঝা যায় যে তাদেরকে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা কার্যকলাপ করতে হয় না ফেসবুক পোষ্ট দিয়ে।

ধরুন কোনো বাবার পরী (daddy’s angel) বা রাহুল পাথর (Rahul Rock) একটা খাবার খাচ্ছে তার সেল্ফি পোষ্ট করলো। বাড়িতে খাওয়ার টেবিলে বা কোনো এক রেস্তোরায় তোলা এক বিদেশি বা দেশি খাবার। নাম হলো এই ধরুন “ঠুস ঠাস” বা “চচ্চড়ি রেজালা”। সুন্দর থালা, বাটি, গ্লাস, টেবিল, ঘরের দেওয়াল ইত্যাদি।

কিন্তু, অন্য দিকে আমারা বা আমি যখন পোষ্ট করি কোনো ছবি, আমাদের কে রীতিমতো ছোট খাটো একটা আয়োজন করতে হয়। কারণ দৈনন্দিন বাস্তব জীবনে আমারা অতটা রঙিন না। ঘরের দেওয়ালে চুনকাম দাগে ভর্তি বা প্লাস্টারহীন ইটের দেওয়াল দাঁত বার করে আছে। টেবিল চেয়ারে শুধু আমার লেখা পড়ার কাজে লাগাই, ভাত খাই মেঝেতে বসে। সিমেন্টের মেঝে, তাতে অসংখ্য আঁকিবুকি। আর থালা, বাতি, গ্লাস? কাঁচের বা বোঁনচায়নার বাসন ভেঙে যায় বলে আলমারি সাজিয়ে রেখে নিজেরা স্টিলের থালা, বাটি, গ্লাস ব্যবহার করি।

এই সবে নিয়ে কি আর ভালো ছবি ওঠে? আর যা ওঠে সেই ছবি আর যাই হোক ফেসবুকে দেওয়া যায় না। অতএব আমারা যে ছবি ফেসবুকে দেই, তার পিছনে থাকে অনেক পরিশ্রম ও আমাদের সাদামাটা মধ্যবিত্ত জীবন কে লুকিয়ে তোলা কিছু মেকি ছবি।

Share this post:
Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *