বাবাই আর পুচুর প্রেমের গল্পটা যেন মজার ঘটনায় ভরা। প্রথমে বাবাই নিজেও জানতো না, যে সে এমন একটা অভ্যাসের মালিক—চলাফেরার সময় সবসময় তার হাত এক মজার ভঙ্গিতে নাড়ে। পুচুই ওকে প্রথম জানায়, যখনই তারা রাস্তায় হাঁটে বা কোথাও যায়, বাবাই এমনভাবে হাত নাড়ায় যেন ওকে ডাকছে।
পুচু বলে, “তুমি জানো? প্রতিবারই তুমি এটা করো, আমি পিছিয়ে পড়লেই!”
আর বাবাইও অবাক হয়ে হেসে ফেলে। এমন না যে ইচ্ছে করে, কিন্তু তার হাঁটার সাথে এই বিশেষ হাত নাড়ানো বোধহয় একটা স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুচু একটু পিছিয়ে পড়লেই, বাবাই হাত তুলে মজার ভঙ্গিতে তাকে ডাকে। যেন সে বলছে, “চল, আর দেরি না!”
পুচু নিজে অবশ্য একটু দুষ্টু প্রকৃতির। সে বলে, “বাবাই অনেক লম্বা, আর আমি ছোটখাটো মানুষ, তাই আমি সবসময় পিছিয়ে পড়ি। আর বাবাই তখন এই মজার ভঙ্গিতে হাত নাড়িয়ে আমাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।”
তাদের প্রতিটা হাঁটার মধ্যেই যেন একটা ছোটখাটো গল্প তৈরি হয়। পুচু হোঁচট খেয়ে পড়ার ভয়ে পিছিয়ে যায়, আর বাবাই মজা করে তাকে ডেকে ফের এগিয়ে নিয়ে আসে।
পুচুর কাছে এই হাঁটাগুলো শুধুমাত্র চলার যাত্রা নয়। প্রতিটা মুহূর্ত যেন এক মজার স্মৃতি, যা তাদের প্রেমকে আরও গভীর করে। সেই মজার হাত নাড়ানো, সেই খুনসুটি, সব মিলিয়ে তাদের জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই যেন তাদের ভালোবাসার আসল গল্প।
আর পুচু ভাবে, “এটাই তো আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর যাত্রা, যেখানে বাবাইয়ের হাতের ইশারায় আমি প্রতিবার নতুন কিছু আবিষ্কার করি!” 💖
=================
আমার অনেক দিনের ইচ্ছে একটি প্রেমের গল্পের সিরিজ লেখার। সময় ও সুযোগের অভাবে হয়ে ওঠেনি। আজ এই মধ্যবয়সে এসে সেই পুরোনো ইচ্ছে পূরণ করা শুরু করলাম। গল্পের সব চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে কোনো মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুমাত্র কাকতালীয়।
আগেও কয়েকটা ছোট গল্প লিখেছিলাম এই দুই চরিত্র নিয়ে। সেগুলো কোথায় হারিয়ে ফেলেছি জানি না। আজ এই ছোট গল্পকে প্রথম ধরে নিয়ে শুরু করলাম। এভাবেই ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
কলমে: হিউম্যানিয়া সঞ্জয় (জয়)




রূপ কথা
বিজয়া দশমীর রাতের গল্প
কালচক্র
শামুকের মুক্তি
অভিমানী বাবী
বৃষ্টির দিনে সেই প্রথম
ফেসবুকের অভিনন্দন পত্র
Gaighata Tornado 1983 | গাইঘাটা ঘূর্ণিঝড় ১৯৮৩ (চড়ুইগাছি টর্নেডো)