বেগুর হ্রদ ও পঞ্চ লিঙ্গা নাগেশ্বর মন্দির
বেগুর পঞ্চলিঙ্গা নাগেশ্বর মন্দিরটি বেঙ্গালুরুর একটি ছোট এলাকা বেগুর নামক স্থানে অবস্থিত। স্থানীয় উচ্চারণে এটিকে নাগনাথেশ্বর মন্দির নামেও পরিচিত। ঐতিহাসিকদের মতে বেগুরের এই পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির বেঙ্গালুরুর প্রাচীন কালের অস্তিত্বের প্রাথমিক প্রমাণ দিয়েছে ১১০০ বছরের পুরনো শিলালিপি।
হোসুর রোডের বোমানহল্লি থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরত্বে বেগুর। নবম শতাব্দীর পশ্চিম গঙ্গা রাজবংশ এবং চোল রাজ্যের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল বলে মনে করা হয়। পশ্চিম গঙ্গার রাজা দুর্ভিনিতার মোল্লাহল্লি অনুদান শিলালিপিতে উল্লেখ আছে যে বেগুরকে একসময় ভেপুর এবং কেলেল বলা হত সেই সময় (৫৮০-৬২৫ খ্রিস্টাব্দ)।
এর বেশি কিছু আমার আর জানা নেই এই প্রাচীন মন্দির সম্বন্ধে। এই আগেও অনেক বার এসেছি এখানে। আমার ঘর থেকে খুবই কাছে এই মন্দিরটি। মাত্র ২৮ মিনিটের হাঁটা পথ এবং টাট্টু ঘোড়াতে ৭ মিনিটের রাস্তা। (* আদর করে আমার বাইকের নাম রেখেছি টাট্টু ঘোড়া)
আজ সকাল ৫টায় উঠেছিলাম ঘুম থেকে। ৮টায় বেরিয়ে পড়লাম ঠাণ্ডা হাওয়া খাওয়ার জন্য। বেগুর হ্রদ / লেক সংস্কার হচ্ছে প্রায় এক বছর ধরে। প্রায় বুজে যাওয়া হ্রদ নতুন ভাবে কাটা হয়েছে, পাড় বাঁধানো হয়েছে সুন্দর করে। ব্যাঙ্গালোরের প্রায় সব কয়টি হ্রদ বা লেক সংস্কারের কাজ চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। প্রতিটি হ্রদ কেটে, পাড় বাঁধিয়ে, গাছ লাগিয়ে যতটা সম্ভন মনোরম পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। সকাল সন্ধ্যা মানুষ এখানে আসছে, হ্রদের চারপাশে হাঁটছে, ব্যায়াম করছে আর বুক ভরে অক্সিজেন নিচ্ছে।
পঞ্চলিঙ্গা নাগেশ্বর মন্দিরটি ঠিক এই হ্রদের পাসেই। এখানে এসে রথ দেখা ও কলা বেচা দুটোই হয়, শরীর চর্চা ও মন্দির দর্শন। সম্প্রতি মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে এবং সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সকাল বা বিকালে বন্ধু বান্ধবী নিয়ে বেশ ভিড় জমিয়ে ফেলছে আশেপাশের এলাকার মানুষ। ২/৪ ঘণ্টা কাটিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ সুন্দর স্থান, আমার মতে।
সঞ্জয় হুমানিয়া | বেঙ্গালুরু, ভারত
১২ই আগস্ট ২০২১
★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★
Begur Lake & Pancha Linga Nageshvara Temple | বেগুর হ্রদ ও পঞ্চ লিঙ্গা নাগেশ্বর মন্দির
View this post on Instagram