Share

Devarayana Durga & Shivaganga Hills

Devarayana Durga Hills, Tumkur | দেবরায়ণদুর্গা পাহাড়, তুমকুর

বেঙ্গালুরু থেকে একদিনের ভ্রমণের জন্য দেবরায়ণ দুর্গা / Devarayana Durga পাহাড় ও মন্দির একটি চমৎকার পিকনিক স্পট। আমাদের প্লান অনুযায়ী সকাল সকাল বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে NICE road হয়ে টুমকুর হাইওয়ে হয়ে দেবরায়ণ দুর্গা / Devarayana Durga hills পাহাড়। আপনি যদি দক্ষিণ বেঙ্গালুরুতে থাকেন তবে আমাদের মতই NICE road হয়ে তুমকুর রোডে উঠতে পারেন। আর আপনি যদি পূর্ব বেঙ্গালুরুতে থাকেন, তবে Outer Ring road নিতে পারেন। Hebbal এবং Jalahalli হয়ে হাইওয়েতে প্রবেশ করতে পারেন। পশ্চিম বঙ্গালুরুতে যারা থাকেন, তারা ভাগ্যবান, তাদের জন্য হাইওয়ে তো দোয়ারে সরকারের মত। ?

দেবরায়ণ দুর্গার / devarayana durga প্রাচীনকালে মূলত আনিবিদ্দাসারী নামে পরিচিত ছিলো। তারপর দেবরায়ণ দুর্গা / Devarayana Durga নামকরণ করেন মাইসোরের রাজা শ্রী চিক্কদেবরাজ ১৬৯৬ সালে। দেবরায়ণ দুর্গার তিনটি মূল আকর্ষণ। প্রথম আকর্ষণ যোগ নরসিংহ মন্দির, দ্বিতীয় আকর্ষণ ভোগ নরসিংহ মন্দির এবং তৃতীয় আকর্ষণ নামাদা ছিলুমি। এই তিনটি স্থানেরই নিজস্ব একটি একটি পৌরাণিক অতীত রয়েছে।

ইতিহাস ঘেটেঘুটে যা জানলাম, যোগ নরসিংহ (Yoga Narsimha) সেই স্থানে নির্মিত হয়েছিলো যেখানে ভগবান ব্রহ্মা দীর্ঘ ও গভীর তপস্যা করার পর, ভগবান বিষ্ণু তাঁর নরসিংহ অবতারে এবং দেবী লক্ষ্মী এসেছিলেন। ভগবান ব্রহ্মা যখন তপস্যায় মগ্ন ছিলেন, তখন দুরবাশা মুনি তাঁর কাছে গিয়ে নরসিংহের মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। সেখানেই পরবর্তী সময়ে ভোগ নরসিংহ মন্দির (Bhoga Narsimha Temple) নির্মিত হয়।

মূল পাহাড় থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে নামদা চিলুমে বা নামদা ছিলুমে (Namada Chilume)। এর ইতিহাস জানতে আমাদের রামায়ণের সময়ে ফিরে যেতে হবে। বলা হয়ে থাকে যে, নির্বাসনে থাকা কালীন ভগবান রাম এবং সীতা পাহাড়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেছিলেন। একদিন, যখন ভগবান রাম তার কপালে চন্দনের প্রলেপ লাগানোর জন্য জল খুঁজছিলেন, তখন তিনি কিছুই খুঁজে পেলেন না। তখন তিনি একটি পাথরে একটি তীর ছুড়লেন, যেখান থেকে জল প্রবাহিত হয়েছিলো। নামদা চিলুমে বা নামদা ছিলুমে (Namada Chilume) হলো সেই ঝর্ণা।

বেঙ্গালুরু থেকে এক দিনের ভ্রমণের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা। দেবরায়ণ দুর্গা মন্দিরে / Devarayana Durga temple পৌছনোর জন্য তুমকুর হাইওয়ে থেকে আপনাকে বাম দিকে পাহাড়ে ওঠার রাস্তা নিতে হবে। উপরে উঠে উত্তেজিত হয়ে মন্দিরের সামনে পর্যন্ত গাড়ি হাকিয়ে আনবেন না, আনলেই বিপদে পড়তে হবে। গাড়ি রাখার যায়গার অভাব এখানে এবং গাড়ি ঘোরানোর যায়গা পাবেন না, সেহেতু মন্দির থেকে অন্তত ৫০০ মিটার আগে গাড়ি রাখুন। গাড়ি রাখার পরে ৫০০ মিটার পায়ে হেঁটে মন্দিরে ওঠার প্রবেশ পথ। এখান থেকে আপনাকে ধাপেধাপে উঠতে হবে উপরে, মন্দির পর্যন্ত। মাঝ পথে জুতো জমা যায়গা পাবেন। একটা কথা একটু জানিয়ে রাখি, এখানে বানর, বান্দর বা বাঁদর হইতে সাবধান, এরা সুজগ পেলেই বাঁদরামি শুরু করে।  খাবার, জলের বোতল ও ক্যামেরা সাবধানে রাখবেন, অসাবধান হলেই বেহাত হয়ে যাবে। দেখবেন যে বাঁদর আপনার ক্যামেরা দিয়ে হয়তো আপনারই ছবি তুলছে আর দাঁত বার করে হাসছে।

ব্যাঙ্গালোর থেকে একদিনের ভ্রমণের জন্য একটি একটি দুর্দান্ত জায়গা, দেবরায়নাদুর্গায় সারা বছর প্রচুর সংখ্যক ভ্রমণকারী ও দর্শনার্থী, ট্রেকিং উত্সাহী এবং তীর্থযাত্রীরা এসে থাকে। পাথুরে পাহাড়গুলি সবুজ বন জঙ্গল দ্বারা বেষ্টিত এবং পাহাড়ের চূড়াগুলি যোগানরসিংহ এবং ভোগনারসিম মন্দির (Yoga and Bhoga Lakshmi Narasimha Swamy Temples) সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্দির রয়েছে। আজ এই পর্যন্ত, আমার কথাটি ফুরোলো, নটে গাছটি মুড়োলো।

সঞ্জয় হুমানিয়া
১৪ জুলাই ২০২২ – ব্যাঙ্গালোর

★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★

Yoga and Bhoga Lakshmi Narasimha Swamy Temples, Devarayana Durga Hills, Tumkur | যোগ এবং ভোগ লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দির, দেবরায়ণদুর্গা পাহাড়, তুমকুর