ধরে নিন এই ঘটনা বা গপ্প কাল্পনিক। তাহলে সহজেই হজম করা যাবে। বাস্তবে হয়তো এমন ঘটে না, সব আমার মনের কল্পনা।
বিশেষ কিছু নাম আমাদের সকলের জীবনে চোখের বালি হয়ে রয়ে যায়। হয়তো তাকে কোনোদিন চোখেই দেখেননি, শুধু তাদের নাম শুনেছেন বহুবার, এবং প্রতিবার আপনার মন খারাপের কারণ হয়েছে। ব্যাপারটা আর একটু সহজ করে বোঝার জন্য উদাহরণ সব বিশ্লেষণ করছি।
ধরুন স্কুল জীবনে আপনার একজন ক্রাশ ছিলো। আপনি নানা অজুহাতে তার সাথে কথা বলার বা দেখা করার নতুন নতুন সুযোগ খুঁজে বেড়াতেন। খুব সাবধানে অতি সাধারণ ভাবে আপনি এই কাজ চালিয়ে গেছেন। বিপরীত মানুষটি হয়তো আপনার মনের ভাব কিছুই আঁচ করতে পারেনি। সে হয়তো সাদা মনে স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছিলো ঘটনা গুলো। যেমন, আপনার কাছে অংকের রেফারেন্স বই আছে, তবুও স্কুল শেষে স্কুলের বাইরে নাটকীয় কাকতালীয় ভাবে রাস্তায় দেখা হয়ে গেলো তার সাথে। আপনি হায় হ্যালো করার পর রেফারেন্স বই চাইলেন। সেও স্বাভাবিক ভাবে ব্যাগ থেকে বই দিয়েছিলো। এমন ছোটো ছোটো টুকরো টুকরো ঘটনা হয়তো আপনি আজও স্মৃতিতে নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছেন।
এবার আসি দ্বিতীয় পর্বে। হঠাৎ একদিন আপনি off ক্লাসে আড্ডায় নিজের ক্লাসেই বসে আছেন বন্ধুদের সাথে। আপনাদের পাসেই চলছে ক্রাশের আড্ডা। আপনার শরীর এখানে, কিন্তু মন আর কান ওই আড্ডায়। আপনি শুনলেন আপনার ক্রাশ কোনো একটি অচেনা ছেলের নাম নিয়ে তার গুনগান গাইছেন। “নিখিল এমন, নিখিল তেমন, নিখিলের এই আছে, নিখিলের সেই আছে, নিখিল খুব কেয়ারিং”। এমন ঘটনা একবার না, বার বার ঘটে চলে আপনার আশেপাশে। শেষমেশ আপনি বুঝলেন, যে নিখিল পৃথিবীর ভাগ্যবান ছেলে। যত কিছু ভালো আর সুন্দর আছে এই পৃথিবীতে, তা সব নিখিলের জন্য। নিখিল আপনার চোখের বলি হয়ে গেলো। যাকে কোনোদিন চোখেই দেখলেন না, সেই আপনার চোখের বালি। হয়তো ২০ বছর পর ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে বা আপিসের সহকর্মী, সেই নামটি সামনে এলো, “নিখিল”। পৃথিবীর সব নিখিল নামধারী মানুষ এখন আপনার মন খারাপের কারণ। হয়তো সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনিও আমার মতো একটা ছোট স্মৃতিকথা লিখে ফেললেন ফেসবুকে। হয়তো সেই গপ্পের নাম দিলেন, ‘চোখের বালি’।
★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★