Share this post:

কোন রকম রাজনৈতিক প্রচার নয় বা সমালোচনা করছি না, এটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। কর্ম সন্ধানে আমি বেঙ্গালুরুবাসী, জন্ম সূত্রে আমি বাঙালি। আমারা সবাই জানি যে আমাদের বাঙ্গালিদের আর এই দক্ষিণ ভারতের খাবারের ( south indian food ) মধ্যে অনেক পার্থক্য। এখানে আমাকে নিজেই রান্না করে খেতে হয় নিজের মত করে। মাঝে মধ্যে স্বাদ বদলের জন্য আমি আর আমার রুম মেট বেরিয়ে পড়ি শহরের নানা প্রান্থে। কখনো দামী কোন রেস্তরা বা বেঙ্গালুরুর স্ট্রিট ফুড / bangalore street food এর খোঁজে। বেশীরভাগ সময় আমার রাতের রান্না নিজেদের অলসতার জন্য করি না, তখনই শুরু হয় আমাদের এই সন্ধ্যা অভিসার। বেঙ্গালুরুতে কিছু কিছু জায়গা আছে, যেগুলি শুধু মাত্র খাওয়ার জন্য খুবই বিখ্যাত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য –

১) ভি ভি পুরাণ ফুড স্ট্রিট / v v puram food street – বেঙ্গালুরু/ Bangalore
২) ব্রাহ্মিন্স কফি বার / brahmins coffee bar – শঙ্করপুরা / Shankarapura
৩) হারিস সুপার স্যান্ডউয়িচ / hari super sandwich – জয়নগর / Jaynagar
৪) খান সাহেব গ্রিল অ্যান্ড রোল / khan saheb grills and rolls – ইন্দিরা নগর / Indiranagar
৫) ফুচকা / puchkas – মারাথালি / Marathahalli
৬) টিক্কি টিক্কি / tikki tikki – করমঙ্গলা / Koramangala

এমনি একদিন সন্ধ্যায় আমরা বেরিয়ে পড়লাম খাবারের সন্ধানে। সেদিন আমারা কম খরচায় কিছু খাবার কথা ভাবছিলাম। কথায় কথায় উঠে এলো ইন্দিরা ক্যান্টিন / indira canteen এর কথা। বেঙ্গালুরুতে কম পয়সায় খাবার তুলে দিতে চালু করেছিল ‘‌ইন্দিরা ক্যান্টিন’‌। দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য ১০ টাকা এবং প্রাতরাশের জন্য দিতে হবে ৫ টাকা। প্রাথমিকভাবে ১০১ ক্যান্টিনে খোলা হয়েছিলো এবং পাওয়া যাচ্ছে ভর্তুকির খাবার। সে রাতের আমাদের গন্তব্য ঠিক হয়ে গেলো এই ইন্দিরা ক্যান্টিন / indira canteen। বেগুর রোড ধরে এগিয়ে চললেই বেগুর হাসপাতাল ও থানা। কাছাকাছির মধ্যে এখানেই ইন্দিরা ক্যান্টিন।

মাত্র ১০ টাকায় থালা ভরা খিচুড়ি সঙ্গে স্যালাড ছিল সে রাতের মেনু। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা মেনু থাকে। দুজনে মিলে তিন প্লেট গরম গরম খিচুড়ি খেয়ে ফেললাম। স্বাদ যথেষ্টই ভালো, খেয়ে মনে হয়েছিলো । যাই হোক, খাওয়ার পরে অন্য এক অনুভূতি। হাত ধোয়ার পরেও হাতে ঘি এর সুগন্ধ! মনে একটাই প্রশ্ন, আমাদের রাজ্যে হলে কি এই গুণগত মান এক থাকতো? হয়তো থাকতো বা থাকতো না। এবার কিছু মানুষ খ্যাঁক করে উঠে আমাকে বলবেন,

“তাহলে ওখানেই থাকুন না!”

শুনেছি কলকাতার পর এবার জেলাও স্বাদ পাবে “একুশে অন্নপূর্ণা-র”। রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে এই প্রকল্পে মাত্র ২১ টাকায় পাওয়া যায় ভাত, মাছ, ডাল, সবজি ও চাটনি। আমি এখনো এটির স্বাদ পাইনি, আশা করছি সেই অভিজ্ঞতা আপনার আমাদের সাথে ভাগ করে নেবো।

★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★

Share this post:
Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *