মানুষের সৌন্দর্যের আলোচনায় চিরকালই বাহ্যিক রূপটাই সামনে এসেছে। যুগের পর যুগ মানুষ আকৃষ্ট হয়েছে রূপের ঝলক আর বাহ্যিক সৌন্দর্যের মোহে। অথচ অন্য এক শ্রেণির মানুষ বারবার মনে করিয়ে গেছে—আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে মানুষের মন আর কর্মে।কিন্তু এখানে একটা সত্য উপেক্ষা করা যায় না।

মানুষের বাহ্যিক রূপ তার নিজের হাতে থাকে না। সৃষ্টির নিয়মে যদি কারও নাক হয় ভোঁতা, মাথা হয় ভারী কিংবা চোখ হয় ছোট ও কুতকুতে, তবে সেই মানুষটির দোষ কোথায়? জন্মগত রূপকে তো কেউ নিজের মতো গড়ে নিতে পারে না।সব মানুষের ভেতরেই একটি সুন্দর মন থাকে—ভালোবাসা, সহমর্মিতা আর মানবিকতা দিয়ে ভরা। কিন্তু সমাজের চোখে সুপুরুষ বা সুন্দরী হবার মানদণ্ড অন্যরকম।

আয়না কখনও কাউকে সান্ত্বনা দেয় না তার অন্তরের সৌন্দর্য দেখিয়ে। তাই বাহ্যিক সৌন্দর্যে খাটো মানুষ যখন আকর্ষণ পায় না, তখন প্রশ্ন জাগে—মন যতই সোনার হোক, তা কি সত্যিই যথেষ্ট মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে?সুতরাং, বাহ্যিক সৌন্দর্যের মোহ আর অন্তরের সৌন্দর্যের মূল্যকে সমানভাবে বিচার করা জরুরি। কারণ রূপ ক্ষণস্থায়ী, অথচ চরিত্র আর মন – সেটাই মানুষের আসল পরিচয়।

Humania Sanjay | বারাসাত, ৩ অক্টোবর ২০২৫

রূপ কথা
রূপ কথা
Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *