সারাদিন প্রতীক্ষায় বসে থাকি, কখন আসে কখন আসবে, কখন সন্ধ্যা নামবে। এই প্রতীক্ষার এক আলাদা অনুভূতি, এক আলাদা আনন্দ। অন্ধকারের প্রতীক্ষায় হুহু করে যে দিন কাটতো আগে, এখন ঠিক তেমন ভাবে কাটে না। এক একটি ঘন্টা বছরের মতো মনে হয়, এক একটা মিনিট যেন কয়েক মাস। তবুও আধারের প্রতীক্ষায় একা বসে আমি। ভয়ে ঘুমাতে পারি না, শুধু মনে হয় এই বুঝি সন্ধ্যা হয়ে যাবে আর আমি আধার উপভোগ করতে পারবো না, যদি ঘুম না ভাঙ্গে? বছর যায়, মাস যায়, দিন যায়। অবশেষ সন্ধ্যা নামে, মনে আনন্দের জোয়ার উঠতে থাকে, আমি স্থিরতা অনুভব করতে থাকি। কি শান্তি, কি অদ্ভুত এই অন্ধকার।

কিন্তু হঠাৎ করে বৈদ্যতিক আলো জ্বলে ওঠে চারিদিকে। এক একটা আলো যেন এক একটা দৈত্য, দাঁত বার করে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে আর বলে, “পারলে না তো আধারের অন্ধকার কে কাছে পেতে? আমরা দেব না তোমায় এই অন্ধকার উপভোগ করতে। বারে বারে, প্রতি সন্ধ্যায় ঝলসে দেবো তোমার চোখ, আমাদের উজ্জ্বল তেজ দিয়ে”।

আমি চোখ বন্ধ করি। শেষমেশ কম পড়েই যায়, ভালোবাসা।

শেষমেশ কম পড়েই যায়, ভালোবাসা
শেষমেশ কম পড়েই যায়, ভালোবাসা
Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *