ছোটবেলায় পোহা / পোহে / চিড়ের পোলাও ছিল আমার কাছে অমৃত।
আমার প্রায় সব বন্ধুরাই স্কুলে টিফিনে এটা নিয়ে আসত, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। মাঝে মাঝে আমাকে অল্প দু-এক চামচ খেতে দিত, আর আমার খুব ভালো লাগত।
দুঃখের বিষয়, সেই সময় আমাদের বাড়িতে কেউ এটা বানাতে পারত না — এখন পারে কি না, তাও জানি না।

আমার টিফিনে সবসময় থাকত গমের আটার রুটি বা পরোটা, সঙ্গে ডিম সিদ্ধ বা ডিমের অমলেট। আর না হলে পাউরুটি আর শুকনো সন্দেশ।
রুটি/পরোটা দিয়ে অমলেট চলত, কিন্তু ডিম সিদ্ধ খাওয়াটা ছিল এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা।
কোনও দিন বাড়িতে এ নিয়ে প্রতিবাদ বা নালিশ করিনি। আজ এই স্বীকারোক্তি লিখছি।

সারা স্কুলজীবন আমি এই শুকনো টিফিন খেয়েই কাটিয়েছি। কতবার যে গলায় খাবার আটকেছে!
চিড়ের পোলাও সেই সময় আমার কাছে ছিল অমৃত — বড়লোকদের বিলাসিতা।
কতবার স্বপ্নে দেখেছি, আমি স্কুলে চিড়ের পোলাও নিয়ে গেছি, মহা আনন্দে খাচ্ছি এবং সবাইকে দিচ্ছি!

আমি প্রথমবার পোহা বা চিড়ের পোলাও খাই ২০১৩ সালে, মহারাষ্ট্রের আউরঙ্গাবাদ শহরে।
টানা তিন বছর চুটিয়ে খেয়েছি — নানা রেস্তোরাঁয়, রাস্তার সস্তা দোকানে ঘুরে ঘুরে। স্বাদের হেরফের ছিল, কিন্তু বেশিরভাগই প্রায় সমান।

এখন আমি পোহা / পোহে / চিড়ের পোলাওয়ের প্রতি গভীর এক টান অনুভব করি।
আমি একজন পোহা-আসক্ত মানুষ।

সঞ্জয় হুমানিয়া
২৩এ জুন ২০২০, বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ইন্ডিয়া

★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★

Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *