ছবি দেখে হয়তো অনেকেই এবার বলবেন,
“Made in China ব্যাটারি কিনেছিস?”

ব্যাপারটা এবার একটু পরিষ্কার করে বলি তাহলে। আমার এই মাউসটি প্রচণ্ড ব্যাটারি খোর। কেনার পর থেকেই আমি সাধারণ eveready battery ব্যাটারি ব্যাবহার করতাম। প্রতি মাসে আমার একটা করে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এক সহকর্মী উপদেশ দিলো duracell battery ব্যাবহার করার। এই ব্যাটারি নাকি কম করে এক বছর চলে।
উপদেশ মত আমি দোকানে গিয়ে duracell battery দিতে বললাম। দোকানদার duracell battery দিলো। যেহেতু এখন চীনা মাল বয়কট trend চলছে, আমি ও তাই কেনার আগে দেখে নিলাম এটা চীনা কি না। দেখলাম Made in China লেখা আছে। আমি ব্যাটারি ফিরিয়ে দিয়ে অন্য কোম্পানির ব্যাটারি দিতে বললাম।
দোকানদার আমার মস্তিষ্ক পড়ে ফেলেছিলো। আমাকে মিষ্টি ভাবে জিজ্ঞাসা করলো, “চা খাবেন?” উত্তরে বললাম আমি চা খাইনা। দোকানদার বললও, ঠিক আছে, তবে একটু সময় থাকলে আমার কয়েকটা কথা শুনবেন? আমি হেসে বললাম, বলুন।
পরিচিত দোকানদার অতি স্বাভাবিক ভাবে বলতে শুরু করলো –
” আমিও আর china made কোন জিনিষ দোকানে তুলছি না। আমিও দেশ কে ভালবাসি, আমার ও সংসার আছে, ছেলে মেয়ে আছে। কিন্তু একটা জিনিষ ভেবে দেখুন, যে সব product আমারা already দোকানে তুলে ফেলেছি এবং তার দাম মিটিয়ে দিয়েছি importer দের, সে সব মাল গুল আমারা কি করবো? সে গুল ফেলে দিলে কি china দের economy তে কোন effect পড়বে?”
কপাল চুলকে আমি বললাম, না তা তো না। দোকানদার আবার শুরু করলো,
” আমি চেষ্টা করছি সব চীনা মাল বর্জন করতে, কিন্তু স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার কিছু করার নেই। অতি দেশ ভক্তি দেখাতে গিয়ে আমি তো আমার মূলধন নষ্ট করতে পারবো না, business নষ্ট হয়ে যাবে। এবার choice আপনার, আপনি স্টকে চীনা মাল কিনবেন কি কিনবেন না।”
আমি ব্যাটারি হাতে তুলে নিয়ে দাম মিটিয়ে চলে এলাম। একজন অল্প শিক্ষিত দোকানদারের যে শিক্ষা আছে, আমাদের অনেকের সেটাও নেই। ভেবে দেখবেন একটু। আর ভক্তরা কমেন্টে খিস্তি করতে পারেন। আমি তাদের মানুষের মধ্যে ধরি না।
সঞ্জয় হুমানিয়া
২২এ জুন ২০২০, বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ইন্ডিয়া
★ আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল থেকে যায়, পাঠকের চোখে পড়লে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ★